April 17, 2025, 5:00 pm
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল নগরীর ৩০ গোডাউন এলাকায় সাইলো নির্মানের নামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভুমি ও শহীদ এডিসি আজিজুল হকের স্মৃতি স্তম্ভ বিনষ্ট করন ও শতবর্ষী পুকুর ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে বধ্যভূমি এলাকায় শতবর্ষি গাছ কাটা ও তৎকালিন এডিসি শহীদ কাজী আজিজুল ইসলামের সমাধী স্থল ধংশ এবং পুকুর ভরাট করে সাইলো নির্মান কাজ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ-মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার উদ্দিন, মুকুল মুখার্জি, আবদুর রব, অমর কুমার পুশি লাল, মো: ইউসুফ আলী, মো: আলমগীর হোসেন মোল্লা,মো: নুরুজ্জামানসহ সন্তান কমান্ডের সভাপতি হাসান মামুদ বাবু, বিসিসি ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহম্মেদ মান্না, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি কাজল ঘোষ, জেলা পুজা উৎযাপন পরষিদের সাধারন সম্পাদক মানিক মুখার্জি কুডু,সমন্বয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক দেবাশীষ চক্রবর্তী,মহানগর পুজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকার, সাংস্কৃতিজন মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তরা বলেন বরিশালে উন্নয়ন হবে কিন্ত মুক্তিযোদ্ধোর স্মৃতি ধংশ করে নয়, ৩০ গোডাউন বধ্যভূমি এলাকায় মুক্তিযোদ্ধোকালিন অনেক স্মৃতি জরিয়ে আছে যা একটি কুচক্রি মহল মুছে ফেলতে চায়,আমরা বেচে থাকতে এহন কর্মকন্ড হতে দিতে পারি না। বরিশাল নগর বাসীর উন্নয়নের সার্থে সাইলো নির্মান হোক,সেখানে যত ধরনের সহযোগীতা দরকার বরিশালবাসী করবে।
কিন্ত মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলে এমন উন্নয়নের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তৎকালিন এডিসি শহীদ কাজী আজিজুল ইসলামের সমাধী স্থল এবং শতবর্ষি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ না কেটে ও পুকুর ভরাট না করে এ সকল উন্নয়ন কাজ হোক এমনটাই দাবী বলে জানায় বক্তরা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার কে মুঠোফোন এ ফোন করা হলে তিনি টেলিফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায় নি।অন্য দিকে খাদ্য অধিদপ্তরের একটি সুত্র জানায়, বিকেলের ঘটনার পরে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষ হলে এ নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে কাজ করা হবে।
Leave a Reply